ঢাকা ০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
News Title :
সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে এনসিপির মনোনয়ন সংগ্রহ করলেন ২৭ বছর বয়সী দ্যুতি অরণ্য প্রীতি চৌধুরী ক্যাম্পাসে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায়: জাবিতে রাত ১০টার পর সব ধরনের অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ মালদ্বীপে দুই বছরে ৯ হাজারের বেশি অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে হাফ ভাড়া নিয়ে শ্রমিক-শিক্ষার্থী সংঘর্ষ : অর্ধশতাধিক বাস ভাঙচুর আল্লাহর ওপর আস্থা পুনর্বহাল করবে বিএনপি : খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিনের প্রতিশ্রুতি রায়গঞ্জে সরকারি সার অতিরিক্ত দামে বিক্রির অভিযোগ যুবলীগ নেতার নিখোঁজ সন্তানের মরদেহ নদীতে উদ্ধার ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৯২ হাতিরঝিলে ককটেল বিস্ফোরণ, মোটরসাইকেলে আগুন বাসচাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত, সড়ক অবরোধ করে বাসে আগুন দিল জনতা
এই রমজান আমাদের অনেকের জীবনের শেষ রমজান হতে পারে

পায়ে শক্ত চামড়ার বুট গায়ে ইউনিফর্ম পরে রাস্তায়, নাম তার ট্রাফিক পুলিশ।

  • মোঃ আরিফ হোসেন
  • আপডেট সময় ১১:৫৬:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ এপ্রিল ২০২২
  • ৩৩০ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ছবি

এখন রমজান মাস, এই মাস মুসলিম জাতির পাপপণ্যের মাস। এই রমজান আমাদের অনেকের জীবনের শেষ রমজান হতে পারে। কয়েক বছর যাবৎ রমজান মাসে একটা ব্যাপার লক্ষণীয় দেখা যাচ্ছে। রাস্তার পাশে কখনো বিশেষ কোনো স্থানে ইফতার বক্স রাখা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ ইফতার তুলে নিয়ে যাচ্ছে। আবার আয়োজকরা সেটা ভিডিও করে তাদের চ্যানেলে বা ফেসবুক পেজে  দিচ্ছে। মুহুর্তেই তা ছড়িয়ে পড়ছে মানুষ সেটা দেখে হাততালি বা বাহুবা দিয়ে বলছে মানবতা  এখনো বেঁচে আছে।

সেই একই স্থানে বা একই শহরে   খেয়াল করলে দেখতে পাবেন রাস্তায় দাঁড়ানো ট্রাফিক জ্যামে আপনি যখন বসে চরমভাবে বিরক্তবোধ করবেন ঠিক তখনই হাজার, হাজার যানবাহন  নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন মুষ্টিমেয় কিছু ট্রাফিক পুলিশ। তীব্র গরমে পায়ে চামড়ার বুট ও শরীরে ইউনিফর্ম পরে  যে মানুষগুলো ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে প্রতিনিয়ত তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের ইফতারি সরবরাহ করা হয় ঠিকই কিন্তু আমরা কি কোনদিন তাদের বলি ভাই আসেন ইফতারি করি বা কিছু খেয়ে নি। নাগরিক হিসাবে  আমরা তাদের এই টুকুতো বলতে পারি। তারাতো আমাদের দেশের কোন মায়ের সন্তান,কারো সন্তানের বাবা বা কারো ভাই আমরা কিন্তু অনেকেই ভুলে গেছি স্বাধীনতা যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম আক্রমণের জবাব কিন্তু  এই ইউনিফর্ম গায়ে পড়া পুলিশ বাহিনী শুরু করেছিল । আমরা যে যার বাসায় ফিরে ইফতারি করছি প্রিয়জনদের নিয়ে। কিন্তু তাদের দায়িত্বের কারণে সে সুযোগ সব সময় তারা পায়না।
আপনি যেকোনো ট্রাফিক পুলিশকে একবার বলুন ভাই আসেন ইফতারি করি। তিনি হয়তো  রাজি হতেও পারেন, বা নাও পারেন। কিন্তু আপনার এই বিনম্র  আহ্বান সারা জীবন মনে রাখবেন। পথে দেখা হলেও  আপনাকে মনে করবে।
 আমাদের দেশে অনেক পরিবারে পুলিশের কেউ চাকরি করেন না।  তাদের নিয়ে অনেক সময়  হাসি, তামাশা করি, তাদের সন্মান করি না।  দেশের নাগরিক হিসেবে আপনার, আমার যতটুকু অধিকার রয়েছে ঠিক ততোটাই অধিকার রয়েছে তাদের ।
  তাদের মিনিমান সম্মান পাবার অধিকার রয়েছে।
আমরা দেশের নাগরিকরা যদি মনের মধ্যে লুকায়িত ভালোবাসা জাগ্রত করে, হিংসা,বিবাদ ভুলে   একে অপরের সাথে মানবতার হাত বাড়িয়ে একসাথে চলতে পারি  তাহলে আমাদের এই সোনার বাংলাদেশ, খাঁটি সোনাই পরিনত হবে।
তাইতো পল্লীকবি জসীমউদ্দীন তার কবিতার ভাষায় বলেছেন-
ও তুই যারে আঘাত হানলিরে
 মনে সেজন  কি তোর পর,
সে ত তোরি তরে কেন্দে কেন্দে বেরায়  দেশান্তর,
এক ঘরেতে লাগলে আগুন পুড়ে অনেক ঘর,
 মনের আগুন মনই পুড়ায়- নাই কোনো দোসর,
তীর যদি বেন্ধে গায়ে  তাও তো  তোলন যায়,
ও তোর কথার আঘাত কোথায় লাগে ,
কেও নাহি টের পায়।
আসুন আমরা কথার দ্বারা কাওকে আঘাত না করি
কেননা মানুষের কথার আঘাত,  কোন ব্যক্তির দেহের বাইরে আঘাত করেনা, করে হৃদয়ের মধ্যে। যা  মুহূর্তেই একজন ব্যক্তির হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হতে পারে।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে এনসিপির মনোনয়ন সংগ্রহ করলেন ২৭ বছর বয়সী দ্যুতি অরণ্য প্রীতি চৌধুরী

এই রমজান আমাদের অনেকের জীবনের শেষ রমজান হতে পারে

পায়ে শক্ত চামড়ার বুট গায়ে ইউনিফর্ম পরে রাস্তায়, নাম তার ট্রাফিক পুলিশ।

আপডেট সময় ১১:৫৬:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ এপ্রিল ২০২২

এখন রমজান মাস, এই মাস মুসলিম জাতির পাপপণ্যের মাস। এই রমজান আমাদের অনেকের জীবনের শেষ রমজান হতে পারে। কয়েক বছর যাবৎ রমজান মাসে একটা ব্যাপার লক্ষণীয় দেখা যাচ্ছে। রাস্তার পাশে কখনো বিশেষ কোনো স্থানে ইফতার বক্স রাখা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ ইফতার তুলে নিয়ে যাচ্ছে। আবার আয়োজকরা সেটা ভিডিও করে তাদের চ্যানেলে বা ফেসবুক পেজে  দিচ্ছে। মুহুর্তেই তা ছড়িয়ে পড়ছে মানুষ সেটা দেখে হাততালি বা বাহুবা দিয়ে বলছে মানবতা  এখনো বেঁচে আছে।

সেই একই স্থানে বা একই শহরে   খেয়াল করলে দেখতে পাবেন রাস্তায় দাঁড়ানো ট্রাফিক জ্যামে আপনি যখন বসে চরমভাবে বিরক্তবোধ করবেন ঠিক তখনই হাজার, হাজার যানবাহন  নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন মুষ্টিমেয় কিছু ট্রাফিক পুলিশ। তীব্র গরমে পায়ে চামড়ার বুট ও শরীরে ইউনিফর্ম পরে  যে মানুষগুলো ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে প্রতিনিয়ত তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের ইফতারি সরবরাহ করা হয় ঠিকই কিন্তু আমরা কি কোনদিন তাদের বলি ভাই আসেন ইফতারি করি বা কিছু খেয়ে নি। নাগরিক হিসাবে  আমরা তাদের এই টুকুতো বলতে পারি। তারাতো আমাদের দেশের কোন মায়ের সন্তান,কারো সন্তানের বাবা বা কারো ভাই আমরা কিন্তু অনেকেই ভুলে গেছি স্বাধীনতা যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম আক্রমণের জবাব কিন্তু  এই ইউনিফর্ম গায়ে পড়া পুলিশ বাহিনী শুরু করেছিল । আমরা যে যার বাসায় ফিরে ইফতারি করছি প্রিয়জনদের নিয়ে। কিন্তু তাদের দায়িত্বের কারণে সে সুযোগ সব সময় তারা পায়না।
আপনি যেকোনো ট্রাফিক পুলিশকে একবার বলুন ভাই আসেন ইফতারি করি। তিনি হয়তো  রাজি হতেও পারেন, বা নাও পারেন। কিন্তু আপনার এই বিনম্র  আহ্বান সারা জীবন মনে রাখবেন। পথে দেখা হলেও  আপনাকে মনে করবে।
 আমাদের দেশে অনেক পরিবারে পুলিশের কেউ চাকরি করেন না।  তাদের নিয়ে অনেক সময়  হাসি, তামাশা করি, তাদের সন্মান করি না।  দেশের নাগরিক হিসেবে আপনার, আমার যতটুকু অধিকার রয়েছে ঠিক ততোটাই অধিকার রয়েছে তাদের ।
  তাদের মিনিমান সম্মান পাবার অধিকার রয়েছে।
আমরা দেশের নাগরিকরা যদি মনের মধ্যে লুকায়িত ভালোবাসা জাগ্রত করে, হিংসা,বিবাদ ভুলে   একে অপরের সাথে মানবতার হাত বাড়িয়ে একসাথে চলতে পারি  তাহলে আমাদের এই সোনার বাংলাদেশ, খাঁটি সোনাই পরিনত হবে।
তাইতো পল্লীকবি জসীমউদ্দীন তার কবিতার ভাষায় বলেছেন-
ও তুই যারে আঘাত হানলিরে
 মনে সেজন  কি তোর পর,
সে ত তোরি তরে কেন্দে কেন্দে বেরায়  দেশান্তর,
এক ঘরেতে লাগলে আগুন পুড়ে অনেক ঘর,
 মনের আগুন মনই পুড়ায়- নাই কোনো দোসর,
তীর যদি বেন্ধে গায়ে  তাও তো  তোলন যায়,
ও তোর কথার আঘাত কোথায় লাগে ,
কেও নাহি টের পায়।
আসুন আমরা কথার দ্বারা কাওকে আঘাত না করি
কেননা মানুষের কথার আঘাত,  কোন ব্যক্তির দেহের বাইরে আঘাত করেনা, করে হৃদয়ের মধ্যে। যা  মুহূর্তেই একজন ব্যক্তির হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হতে পারে।