ঢাকা ০২:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রামগঞ্জ-হাজীগঞ্জ সড়ক খানাখন্দে বেহাল অবস্থা 

 লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ-হাজীগঞ্জ সড়কের রামগঞ্জ পৌর শহরের দীর্ঘ ৩ কি. মি. অংশ চলাচলের অযোগ্য হয়ে হয়ে আছে। কোথাও দেবে গিয়ে কোথাও ভেঙে গিয়ে আবার কোথাও বড় বড় গতের সৃষ্টি হয়ে দীর্ঘ বছরের পর বছর। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি এমন খানাখন্দে পথচারীসহ স্থানীয় এবং দুরপাল্লার যানবাহন চালকদের অবর্ননীয় দুর্ভোগ স্থায়ীরূপ ধারণ করলেও সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে নেয়া হচ্ছেনা কোনো প্রদক্ষেপ। এতে রামগঞ্জের সর্বমহলে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।ম সড়ক ও জনপথের রামগঞ্জ উপ-বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, রামগঞ্জ-হাজীগঞ্জ সড়কের উত্তরে ফকির বাজারের ব্রিজ থেকে দক্ষিণে মীরগঞ্জ বাজার পর্যন্ত রামগঞ্জ অংশে বিদ্যমান ১৭কি.মি.। সড়কটির প্রস্থ ১৮ফুট হলেও রামগঞ্জ পৌর অংশে প্রস্থের পরিমান ২২ফুট। পুরো সড়কটিতে থেকে থেকে গর্ত আর দেবে যাওয়ার অংশ বিশেষ থাকলেও শহরের সোনাপুর ব্রিজ থেকে দক্ষিণে জোড় কবর পর্যন্ত নাজেহাল অবস্থা চরমে গিয়ে ঠেকেছে।
বড়বড় গর্তের সাথে সৃষ্টি হয়েছে ঢেউ। আবার কোথাও বৃহৎ অংশ নিয়ে দেবে যাওয়ার কারণে ওই অংশ দিয়ে দূরপাল্লার বাস, মালবাহী ট্রাক, ড্রাম ট্রাক চলাচল দূরহ হয়ে পড়েছে। ৫ মিনিটের দূরত্ব পেরুতে চালকদের সময় গুনতে হচ্ছে এক থেকে দেড় ঘণ্টা। এতে করে প্রতিদিন ভয়াবহ আকার ধারণ করে জানজট। এরমধ্যে কিছু কিছু গর্তে ইটের খোয়া দেয়া হলেও তা নিম্নমানের হওয়ায় ওই খোয়া থেতলে গিয়ে কাদামাটির সৃষ্টি করেছে। ফলে শিক্ষার্থীরা সময়মত যেতে পারছে না স্কুল-কলেজে। মুমুর্ষ রোগী নিয়ে সময়মত পৌঁছানো যাচ্ছেনা হাসপাতালে। এছাড়াও দুর্ঘটনা নিত্যনৈমিত্যক হয়ে দাড়িয়েছে। রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ মামুন জানান, যে হারে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে এমন সড়ক দিয়ে যানবাহন দুরের কথা পায়ে চলাচলও দুরহ। এমন পরিস্থিতিতে রামগঞ্জ পৌরসভার চলমান উন্নয়ন কাজেও অন্তরায় সৃষ্টি করছে। এ ব্যাপারে বারংবার জেলা সড়ক ও জনপদ প্রকৌশলীকে অবহিত করার পরও সৃষ্ট পরিস্থিতি নিরসনে প্রদক্ষেপ গ্রহণে কেনো দেরি হচ্ছে বুঝতে পারছিনা।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের রামগঞ্জ কার্যালয়ের দায়িত্বরত উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আমির হোসেন সড়কটির সৃষ্ট পরিস্থিতির কথা স্বীকার করে সর্বশেষ সড়কটিতে কবে মেরামতের কাজ হয়েছিলো তা তিনি জানেননা বলে জানিয়েছেন। বর্তমানে সড়কটির বাইপাস অংশ ঢালাই কাজ করার জন্য ওয়ার্ক ওর্ডার হয়েছে এবং সে মোতাবেক অতিস্বত্তর কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

খুলনা তেরখাদায় ইসমাইল ও রবিউলের জোড়া খুনের আসামি কালু বাহিনীর আতঙ্কে মামলার বাদী ও ভুক্তভোগীর পরিবার

রামগঞ্জ-হাজীগঞ্জ সড়ক খানাখন্দে বেহাল অবস্থা 

আপডেট সময় ০১:৫৯:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
 লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ-হাজীগঞ্জ সড়কের রামগঞ্জ পৌর শহরের দীর্ঘ ৩ কি. মি. অংশ চলাচলের অযোগ্য হয়ে হয়ে আছে। কোথাও দেবে গিয়ে কোথাও ভেঙে গিয়ে আবার কোথাও বড় বড় গতের সৃষ্টি হয়ে দীর্ঘ বছরের পর বছর। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি এমন খানাখন্দে পথচারীসহ স্থানীয় এবং দুরপাল্লার যানবাহন চালকদের অবর্ননীয় দুর্ভোগ স্থায়ীরূপ ধারণ করলেও সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে নেয়া হচ্ছেনা কোনো প্রদক্ষেপ। এতে রামগঞ্জের সর্বমহলে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।ম সড়ক ও জনপথের রামগঞ্জ উপ-বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, রামগঞ্জ-হাজীগঞ্জ সড়কের উত্তরে ফকির বাজারের ব্রিজ থেকে দক্ষিণে মীরগঞ্জ বাজার পর্যন্ত রামগঞ্জ অংশে বিদ্যমান ১৭কি.মি.। সড়কটির প্রস্থ ১৮ফুট হলেও রামগঞ্জ পৌর অংশে প্রস্থের পরিমান ২২ফুট। পুরো সড়কটিতে থেকে থেকে গর্ত আর দেবে যাওয়ার অংশ বিশেষ থাকলেও শহরের সোনাপুর ব্রিজ থেকে দক্ষিণে জোড় কবর পর্যন্ত নাজেহাল অবস্থা চরমে গিয়ে ঠেকেছে।
বড়বড় গর্তের সাথে সৃষ্টি হয়েছে ঢেউ। আবার কোথাও বৃহৎ অংশ নিয়ে দেবে যাওয়ার কারণে ওই অংশ দিয়ে দূরপাল্লার বাস, মালবাহী ট্রাক, ড্রাম ট্রাক চলাচল দূরহ হয়ে পড়েছে। ৫ মিনিটের দূরত্ব পেরুতে চালকদের সময় গুনতে হচ্ছে এক থেকে দেড় ঘণ্টা। এতে করে প্রতিদিন ভয়াবহ আকার ধারণ করে জানজট। এরমধ্যে কিছু কিছু গর্তে ইটের খোয়া দেয়া হলেও তা নিম্নমানের হওয়ায় ওই খোয়া থেতলে গিয়ে কাদামাটির সৃষ্টি করেছে। ফলে শিক্ষার্থীরা সময়মত যেতে পারছে না স্কুল-কলেজে। মুমুর্ষ রোগী নিয়ে সময়মত পৌঁছানো যাচ্ছেনা হাসপাতালে। এছাড়াও দুর্ঘটনা নিত্যনৈমিত্যক হয়ে দাড়িয়েছে। রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ মামুন জানান, যে হারে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে এমন সড়ক দিয়ে যানবাহন দুরের কথা পায়ে চলাচলও দুরহ। এমন পরিস্থিতিতে রামগঞ্জ পৌরসভার চলমান উন্নয়ন কাজেও অন্তরায় সৃষ্টি করছে। এ ব্যাপারে বারংবার জেলা সড়ক ও জনপদ প্রকৌশলীকে অবহিত করার পরও সৃষ্ট পরিস্থিতি নিরসনে প্রদক্ষেপ গ্রহণে কেনো দেরি হচ্ছে বুঝতে পারছিনা।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের রামগঞ্জ কার্যালয়ের দায়িত্বরত উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আমির হোসেন সড়কটির সৃষ্ট পরিস্থিতির কথা স্বীকার করে সর্বশেষ সড়কটিতে কবে মেরামতের কাজ হয়েছিলো তা তিনি জানেননা বলে জানিয়েছেন। বর্তমানে সড়কটির বাইপাস অংশ ঢালাই কাজ করার জন্য ওয়ার্ক ওর্ডার হয়েছে এবং সে মোতাবেক অতিস্বত্তর কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।