ঢাকা ১২:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

স্কুলে প্রশ্ন ফাঁস : প্রধান শিক্ষকের বিতর্কিত মন্তব্য

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জানতে সাংবাদিক ফোন করলে প্রধান শিক্ষক মো. শাহ আলম ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “রিপোর্ট করে দেন, যা হওয়ার হবে।” এরপর তিনি আরও বলেন, “যা বলার অফিসকেই বলব, আপনাদের না।” বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আগের রাতে ছড়িয়ে পড়া প্রশ্নপত্রের সঙ্গে পরীক্ষার মূল প্রশ্ন হুবহু মিলে যাচ্ছে। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা চলাকালীন প্রতিদিনই পরীক্ষার আগের রাতে শিক্ষার্থীদের গ্রুপে-গ্রুপে প্রশ্নপত্র চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র সাজ্জাদ বলেন, “শুনেছিলাম, কিন্তু বিশ্বাস করিনি। আজ এসে সত্যতা দেখলাম।” কয়েকজন পরীক্ষার্থী জানান, প্রশ্ন কমন আসায় এ বছর তাদের পরীক্ষা খুব ভালো হচ্ছে। ফতেপুর মেহেরনেগা স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. নাহিম বলেন, “প্রতিদিনই ওই স্কুলের প্রশ্ন আগেরদিন ফাঁস হয়, এটা সবাই জানে।” এদিকে, স্কুলের নতুন ভবনের কয়েকটি পরীক্ষার হলে সহকারী প্রধান শিক্ষক মহসিন এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “প্রশ্ন ফাঁস হয়নি, প্রধান শিক্ষকই পরীক্ষা শুরুর একদিন আগে প্রশ্নপত্র এনেছেন।” তবে প্রশ্ন মিলিয়ে দেখালে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এর আগে হল পরিদর্শনের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক শহরে আছেন জানিয়ে প্রতিবেদককে সহকারী প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ড. সেলিম রেজা বলেন, “এটি অত্যন্ত লজ্জাকর ও গর্হিত কাজ। এর জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মচারীরাই দায়ী।” তিনি জানান, “ঘটনাটি জানার পর পরদিনের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে এবং অবশিষ্ট বিষয়ের জন্য নতুন প্রশ্ন তৈরি করে শিক্ষা অফিসে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।” উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মুমিন বলেন, “বিষয়টি তদন্ত করে দায়ী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নওগাঁ-২ আসনে বিএনপির ১৫ হাজার মোটরসাইকেলের বিশাল শোডাউন

স্কুলে প্রশ্ন ফাঁস : প্রধান শিক্ষকের বিতর্কিত মন্তব্য

আপডেট সময় ০৫:২৩:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জানতে সাংবাদিক ফোন করলে প্রধান শিক্ষক মো. শাহ আলম ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “রিপোর্ট করে দেন, যা হওয়ার হবে।” এরপর তিনি আরও বলেন, “যা বলার অফিসকেই বলব, আপনাদের না।” বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আগের রাতে ছড়িয়ে পড়া প্রশ্নপত্রের সঙ্গে পরীক্ষার মূল প্রশ্ন হুবহু মিলে যাচ্ছে। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা চলাকালীন প্রতিদিনই পরীক্ষার আগের রাতে শিক্ষার্থীদের গ্রুপে-গ্রুপে প্রশ্নপত্র চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র সাজ্জাদ বলেন, “শুনেছিলাম, কিন্তু বিশ্বাস করিনি। আজ এসে সত্যতা দেখলাম।” কয়েকজন পরীক্ষার্থী জানান, প্রশ্ন কমন আসায় এ বছর তাদের পরীক্ষা খুব ভালো হচ্ছে। ফতেপুর মেহেরনেগা স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. নাহিম বলেন, “প্রতিদিনই ওই স্কুলের প্রশ্ন আগেরদিন ফাঁস হয়, এটা সবাই জানে।” এদিকে, স্কুলের নতুন ভবনের কয়েকটি পরীক্ষার হলে সহকারী প্রধান শিক্ষক মহসিন এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “প্রশ্ন ফাঁস হয়নি, প্রধান শিক্ষকই পরীক্ষা শুরুর একদিন আগে প্রশ্নপত্র এনেছেন।” তবে প্রশ্ন মিলিয়ে দেখালে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এর আগে হল পরিদর্শনের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক শহরে আছেন জানিয়ে প্রতিবেদককে সহকারী প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ড. সেলিম রেজা বলেন, “এটি অত্যন্ত লজ্জাকর ও গর্হিত কাজ। এর জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মচারীরাই দায়ী।” তিনি জানান, “ঘটনাটি জানার পর পরদিনের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে এবং অবশিষ্ট বিষয়ের জন্য নতুন প্রশ্ন তৈরি করে শিক্ষা অফিসে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।” উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মুমিন বলেন, “বিষয়টি তদন্ত করে দায়ী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”