
নীলফামারীর ডিমলায় জেলা পরিষদ স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র আল-আমিনকে ছুরিঘাতকারী একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র নাসিমের সহযোগী রাব্বি হাসানকে ছাত্র আন্দোলনের চাপের মুখে গ্রেপ্তার করেছে ডিমলা থানা পুলিশ। গত ২৭ নভেম্বর দুপুর প্রায় বারোটার দিকে প্রতিষ্ঠানে ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন তুচ্ছ বিষয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আল-আমিনকে একই প্রতিষ্ঠানের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র নাসিম ছুরি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে।
আল-আমিনের সহপাঠীরা নাসিমকে আটকানোর চেষ্টা করলে কয়েকজনের সহযোগিতায় সে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে আল-আমিনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য দ্রুত ডিমলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আল-আমিনের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। তাঁকে আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে এবং তাঁর শরীরের কয়েকটি স্থানে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। সে এখনও সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে আল-আমিনের পিতা নুর ইসলাম বাদী হয়ে ঘাতক নাসিম হোসেন (১৮) সহ অজ্ঞাত পাঁচ জনের নামে মামলা করেছেন।
ডিমলা থানা পুলিশ মামলা নিলেও কয়েক দিনে আসামিকে ধরতে ব্যর্থ হওয়ায় গত রবিবার উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ ডিমলা অবরোধ ও থানা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে। এতে প্রশাসনের উপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনাবাহিনী, উপজেলা প্রশাসন ও ডিমলা থানা পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বাধ্য হয়ে নাসিমের সহযোগী ও ডিমলা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত কর্মী রাব্বি হাসানকে গ্রেপ্তার করে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়। উল্লেখ্য, রাব্বি হাসান ইতিপূর্বে দলীয় নিয়ম-শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায়ে ডিমলা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে বহিষ্কার হন।
এ বিষয়ে ডিমলা থানার চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ পরিতোষ চন্দ্র রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তদন্তের যাবতীয় কাজ শেষে আজকেই তাঁকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মো. বাদশা প্রামানিক, ডিমলা নীলফামারী প্রতিনিধি : 



















