ঢাকা ০১:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
হাটহাজারীতে বিশেষ অভিযানে যুবলীগ-ছাত্রলীগের চার নেতাকর্মীসহ ছয়জন আটক সিংগাইরে শারফিন মোল্লা হত্যার আসামীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন বগুড়ার ধুনটে কৃষি প্রণোদনা কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ টিকটকে উস্কানিমূলক ভিডিও : পার্বতীপুরের আ’লীগ নেত্রী আটক বালু-পাথর লুট, অবৈধ অস্ত্র ও চাঁদাবাজি বন্ধে জিরো টলারেন্স : সুনামগঞ্জের নবাগত পুলিশ সুপার বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় গাজীপুরের পূবাইলে বিএনপি’র দোয়া মাহফিল ও তবারক বিতরণ নবাগত পুলিশ সুপারের সঙ্গে নওগাঁর সাংবাদিকদের মতবিনিময় রামগঞ্জে জমি দখলে বাধা দেওয়ায় ভাতিজাদের হামলায় চাচার মৃত্যু ঘিওর বালিয়াখোড়া গ্রামের মনিদাস পাড়াকে ঢাক ঢোল পাড়া হিসেবে চেনে প্রথম প্রান্তিকে ওয়ালটনের মুনাফায় ৪৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি, আর্থিক সূচকে অসাধারণ সাফল্য

"জাতপাতের ঊর্ধ্বে প্রেম, সিঁথিতে রক্তের সিঁদুর": পরিবারের হাতে খুন প্রেমিক, মরদেহকে বিয়ে করলেন তরুণী

ভারতের মহারাষ্ট্রের নান্দেদে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে পরিবারের হাতে নৃশংসভাবে খুন হওয়া প্রেমিকের মরদেহকেই ‘বিয়ে’ করেছেন প্রেমিকা। নৃশংসভাবে পিটিয়ে, গুলি করে এবং পাথর দিয়ে মাথা চূর্ণ করে হত্যা করা হয়েছিল বিশ বছর বয়সী যুবক সক্ষম টেটকে। এনডিটিভির খবরে জানা যায়, সক্ষমের শেষকৃত্যের সময় তাঁর প্রেমিকা আঁচল সাহসের সঙ্গে টেটের কপালে সিঁদুর পরিয়ে দেন এবং বধূ হিসেবে তাঁর বাড়িতে থাকার ঘোষণা দেন।

আঁচল তাঁর ভাইদের মাধ্যমেই সক্ষম টেটের সঙ্গে পরিচিত হন। টেটের বাড়িতে ঘন ঘন যাতায়াতের মধ্য দিয়ে তাঁদের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে এবং তিন বছর ধরে তাঁদের এই সম্পর্ক চলতে থাকে। তবে সম্প্রতি তাঁদের ভালোবাসার ওপর নেমে আসে পারিবারিক চাপ। জাতের পার্থক্যের কারণে আঁচলের পরিবার তাঁদের সম্পর্ক মেনে নিতে পারছিল না এবং টেটকে অসংখ্য হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এতকিছুর পরেও আঁচল টেটের সঙ্গে সম্পর্ক অব্যাহত রেখেছিলেন।

আঁচলের ভাই ও বাবা যখন জানতে পারেন যে, তিনি টেটকে বিয়ে করতে চলেছেন, তখন তাঁরা হিংস্র হয়ে ওঠেন। গত বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) তাঁরা টেটকে মারধর করেন, মাথায় গুলি করেন এবং পাথর দিয়ে মাথা চূর্ণ করে নৃশংসভাবে হত্যা করেন। টেটের শেষকৃত্য যখন চলছিল, তখনই তীব্র আবেগ নিয়ে আঁচল তাঁর বাড়িতে পৌঁছান। সেখানে তিনি নিজের শরীরে হলুদ মেখে এবং প্রেমিকের কপালে সিঁদুর পরিয়ে মৃত প্রেমিক টেটের দেহকে প্রতীকী ‘বিয়ে’ করেন। এরপর তিনি দৃপ্তকণ্ঠে ঘোষণা করেন, তিনি তাঁর স্ত্রী হিসেবে টেটের বাড়িতেই বাকি জীবন কাটাবেন।

শোকে পাথর হয়েও দৃঢ় কণ্ঠে আঁচল বলেন, “আমাদের প্রেম জিতেছে, সক্ষম মারা গেলেও আমাদের প্রেম বেঁচে আছে। আমার বাবা ও ভাইরা হেরেছে।” তিনি টেটের খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়ে বলেন, টেট মারা গেলেও তাঁর ভালোবাসা এখনও বেঁচে আছে, তাই তিনি তাঁকে বিয়ে করেছেন এবং হত্যাকারীদের মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন। এই ঘটনায় পুলিশ বিভিন্ন ধারায় ছয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তাদের গ্রেপ্তার করেছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

বার্তা বিভাগ

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

হাটহাজারীতে বিশেষ অভিযানে যুবলীগ-ছাত্রলীগের চার নেতাকর্মীসহ ছয়জন আটক

"জাতপাতের ঊর্ধ্বে প্রেম, সিঁথিতে রক্তের সিঁদুর": পরিবারের হাতে খুন প্রেমিক, মরদেহকে বিয়ে করলেন তরুণী

আপডেট সময় ০১:১৭:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৫

ভারতের মহারাষ্ট্রের নান্দেদে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে পরিবারের হাতে নৃশংসভাবে খুন হওয়া প্রেমিকের মরদেহকেই ‘বিয়ে’ করেছেন প্রেমিকা। নৃশংসভাবে পিটিয়ে, গুলি করে এবং পাথর দিয়ে মাথা চূর্ণ করে হত্যা করা হয়েছিল বিশ বছর বয়সী যুবক সক্ষম টেটকে। এনডিটিভির খবরে জানা যায়, সক্ষমের শেষকৃত্যের সময় তাঁর প্রেমিকা আঁচল সাহসের সঙ্গে টেটের কপালে সিঁদুর পরিয়ে দেন এবং বধূ হিসেবে তাঁর বাড়িতে থাকার ঘোষণা দেন।

আঁচল তাঁর ভাইদের মাধ্যমেই সক্ষম টেটের সঙ্গে পরিচিত হন। টেটের বাড়িতে ঘন ঘন যাতায়াতের মধ্য দিয়ে তাঁদের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে এবং তিন বছর ধরে তাঁদের এই সম্পর্ক চলতে থাকে। তবে সম্প্রতি তাঁদের ভালোবাসার ওপর নেমে আসে পারিবারিক চাপ। জাতের পার্থক্যের কারণে আঁচলের পরিবার তাঁদের সম্পর্ক মেনে নিতে পারছিল না এবং টেটকে অসংখ্য হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এতকিছুর পরেও আঁচল টেটের সঙ্গে সম্পর্ক অব্যাহত রেখেছিলেন।

আঁচলের ভাই ও বাবা যখন জানতে পারেন যে, তিনি টেটকে বিয়ে করতে চলেছেন, তখন তাঁরা হিংস্র হয়ে ওঠেন। গত বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) তাঁরা টেটকে মারধর করেন, মাথায় গুলি করেন এবং পাথর দিয়ে মাথা চূর্ণ করে নৃশংসভাবে হত্যা করেন। টেটের শেষকৃত্য যখন চলছিল, তখনই তীব্র আবেগ নিয়ে আঁচল তাঁর বাড়িতে পৌঁছান। সেখানে তিনি নিজের শরীরে হলুদ মেখে এবং প্রেমিকের কপালে সিঁদুর পরিয়ে মৃত প্রেমিক টেটের দেহকে প্রতীকী ‘বিয়ে’ করেন। এরপর তিনি দৃপ্তকণ্ঠে ঘোষণা করেন, তিনি তাঁর স্ত্রী হিসেবে টেটের বাড়িতেই বাকি জীবন কাটাবেন।

শোকে পাথর হয়েও দৃঢ় কণ্ঠে আঁচল বলেন, “আমাদের প্রেম জিতেছে, সক্ষম মারা গেলেও আমাদের প্রেম বেঁচে আছে। আমার বাবা ও ভাইরা হেরেছে।” তিনি টেটের খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়ে বলেন, টেট মারা গেলেও তাঁর ভালোবাসা এখনও বেঁচে আছে, তাই তিনি তাঁকে বিয়ে করেছেন এবং হত্যাকারীদের মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন। এই ঘটনায় পুলিশ বিভিন্ন ধারায় ছয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তাদের গ্রেপ্তার করেছে।