ঢাকা ১২:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেরপুরে হত্যা চেষ্টা মামলা প্রত্যাহার না করায় আবারো ভুক্তভোগী পরিবারকে হত্যা চেষ্ঠা : এলাকাবাসীর মাঝে উত্তেজনা

শেরপুর জেলার সদর উপজেলার গাজীরখামার ইউনিয়নের গাজীরখামার চকপাড়া গ্রামে একই গোষ্ঠীগত পূর্ব শত্রুতার এবং বিভিন্ন বিরোধের জের ধরে মৃত তৈয়ল হাজীর ছেলে মোঃ কডা মিয়া (৬০) এর নেতৃত্বে তার ছেলে মোঃ হবি মিয়া (৩০) বুদু মিয়া (৩৩) মোঃ শুক্কুর আলী (২৮), মোঃ জসিম মিয়া (২৫) ও মোঃ নবী মিয়া (৩২) সহ অপরাপর সহযোগি বুদু মিয়ার ছেলে মোঃ আরিফ মিয়া (২০) এবং মাইটানিপাড় গ্রামের ছক্ক মিয়ার ছেলে মোঃ বিল্লাল মিয়া (৩৫) চলতি বছরের ১ মে দেশীয় অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মৃত সহি শেখের ছেলে মোঃ আমির উদ্দিন তার ভাই মোঃ রহিম ও আমির উদ্দিনের স্ত্রী মোছাঃ আকলিমা সহ একই পরিবারের ৫ জনকে বাড়ীতে গিয়ে চড়াও হয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় মারধর করে গুরুতর আহত করে।

এঘটনায় শেরপুর সদর থানায় গত ৭ মে ওই চিহ্নিত সন্ত্রাষীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার জি আর নং-২২২/২৫ এদিকে আদলতে মামলা চলাকালীন সময়ে হাজী মোঃ কডা মিয়ার গোষ্ঠীর লোকজন বুঝতে পারে এ মামলায় আদালতে সাজা হওয়ার আশংঙ্খা রয়ছে। এমন পরিস্থিতি বুঝতে পেরে মামলার বাদী ও জখমী মোঃ আমির উদ্দিনের ছেলে মোঃ সুজন মিয়াকে সেই মামলা প্রত্যাহার করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে এবং মামলা প্রত্যাহার না করলে পুনরায় তাদের একই পরিণতি হবে বলে এমন প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

এদিকে মামলার বাদী ওই সন্ত্রাসীদের কথামত মামলা প্রত্যাহার না করায় আবারো ২৬-১০-২০২৫ ইং তারিখ রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাজী মোঃ কডা মিয়ার নেতৃত্বে তার ছেলে সহ ৮-১০ জন অপরাপর আত্মীয়রা দেশীয় অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মোঃ আমির উদ্দিনের বশত বাড়িতে চড়াও হয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এসময় ওই সন্ত্রাসীদের হামলায়জখম হয় আমির উদ্দিন, তার স্ত্রী আকলিমা, তার ভাই রহমান সহ ৫ জন। পরে আহতদের উদ্ধার করে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেও জখমীদের হাসপাতাল গিয়ে হামলা করে এবং হাসপাতাল থেকে বের করে দেয় বলে আমির উদ্দিনের পরিবারের এমনটাই অভিযোগ।

৩১ অক্টোবর শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, হাজী মোঃ কডা মিয়ার ছেলেরা মাদক ব্যবসায় জড়িত এবং হাজী মোঃ কডা মিয়ার বাড়ীর সামনে সড়ক দিয়ে পথচারী নারীদের ইভটিজিংসহ বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকালাপের অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। তাদের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠি হয়ে পড়েছেন বলে হাজী মোঃ কডার আত্মীয়দেরও অভিযোগ। এসব ঘটনায় আমির উদ্দিন তার ছেলে মামলার বাদী মোঃ সুজন মিয়া সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। পরবর্তীতে ২৭/১০/২০২৫ ইং তারিখে সুজন মিয়া বাদী হয়ে বিজ্ঞ সি আর আমলী আদালতে হাজী মোঃ কডা মিয়া সহ ৮ জনকে চিহ্নিত করে মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নং – ১৬১৭/২৫। বর্তমানে ওই মামলা সদর থানায় তদন্তাধীন রয়েছে বলে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ বাবুল হোসেন সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এবিষয়ে আসামী হাজী মোঃ কডা মিয়ার সাথে যোগাযোগ করতে তার বাড়িতে গেলে বাড়ির লোকজন জানান, তিনি পলাতক রয়েছে।

মুঠোফোনে হাজী মোাঃ কডা মিয়ার ছেলে জসিম মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, মারামারির সময় আমি ঢাকাতে ছিলাম, আমি এব্যাপারে জানি না। তার বাবার ফোন নাম্বার চাইলে তিনি বলেন, আমার বাবা মোবাইল ফোন ব্যাবহার করে না।

মুঠোফোনে হাজী মোঃ কডা মিয়ার ছেলে হবি মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন,আমরা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত না, আমার বাবা কডা মিয়া একজন হাজী।

আমরা হাজী পরিবারের মানুষ।এবং মুনির মাওলা ওরফে (বিল্লাল) এর সাথে মুঠোফোন তার নেতৃত্বে হাসপাতালে হামলার বিষয় টি জানতে চাইলে তিনি বিষয় টি অস্বীকার করেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

বার্তা বিভাগ

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

শেরপুরে হত্যা চেষ্টা মামলা প্রত্যাহার না করায় আবারো ভুক্তভোগী পরিবারকে হত্যা চেষ্ঠা : এলাকাবাসীর মাঝে উত্তেজনা

আপডেট সময় ১২:০৯:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫

শেরপুর জেলার সদর উপজেলার গাজীরখামার ইউনিয়নের গাজীরখামার চকপাড়া গ্রামে একই গোষ্ঠীগত পূর্ব শত্রুতার এবং বিভিন্ন বিরোধের জের ধরে মৃত তৈয়ল হাজীর ছেলে মোঃ কডা মিয়া (৬০) এর নেতৃত্বে তার ছেলে মোঃ হবি মিয়া (৩০) বুদু মিয়া (৩৩) মোঃ শুক্কুর আলী (২৮), মোঃ জসিম মিয়া (২৫) ও মোঃ নবী মিয়া (৩২) সহ অপরাপর সহযোগি বুদু মিয়ার ছেলে মোঃ আরিফ মিয়া (২০) এবং মাইটানিপাড় গ্রামের ছক্ক মিয়ার ছেলে মোঃ বিল্লাল মিয়া (৩৫) চলতি বছরের ১ মে দেশীয় অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মৃত সহি শেখের ছেলে মোঃ আমির উদ্দিন তার ভাই মোঃ রহিম ও আমির উদ্দিনের স্ত্রী মোছাঃ আকলিমা সহ একই পরিবারের ৫ জনকে বাড়ীতে গিয়ে চড়াও হয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় মারধর করে গুরুতর আহত করে।

এঘটনায় শেরপুর সদর থানায় গত ৭ মে ওই চিহ্নিত সন্ত্রাষীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার জি আর নং-২২২/২৫ এদিকে আদলতে মামলা চলাকালীন সময়ে হাজী মোঃ কডা মিয়ার গোষ্ঠীর লোকজন বুঝতে পারে এ মামলায় আদালতে সাজা হওয়ার আশংঙ্খা রয়ছে। এমন পরিস্থিতি বুঝতে পেরে মামলার বাদী ও জখমী মোঃ আমির উদ্দিনের ছেলে মোঃ সুজন মিয়াকে সেই মামলা প্রত্যাহার করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে এবং মামলা প্রত্যাহার না করলে পুনরায় তাদের একই পরিণতি হবে বলে এমন প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

এদিকে মামলার বাদী ওই সন্ত্রাসীদের কথামত মামলা প্রত্যাহার না করায় আবারো ২৬-১০-২০২৫ ইং তারিখ রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাজী মোঃ কডা মিয়ার নেতৃত্বে তার ছেলে সহ ৮-১০ জন অপরাপর আত্মীয়রা দেশীয় অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মোঃ আমির উদ্দিনের বশত বাড়িতে চড়াও হয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এসময় ওই সন্ত্রাসীদের হামলায়জখম হয় আমির উদ্দিন, তার স্ত্রী আকলিমা, তার ভাই রহমান সহ ৫ জন। পরে আহতদের উদ্ধার করে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেও জখমীদের হাসপাতাল গিয়ে হামলা করে এবং হাসপাতাল থেকে বের করে দেয় বলে আমির উদ্দিনের পরিবারের এমনটাই অভিযোগ।

৩১ অক্টোবর শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, হাজী মোঃ কডা মিয়ার ছেলেরা মাদক ব্যবসায় জড়িত এবং হাজী মোঃ কডা মিয়ার বাড়ীর সামনে সড়ক দিয়ে পথচারী নারীদের ইভটিজিংসহ বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকালাপের অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। তাদের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠি হয়ে পড়েছেন বলে হাজী মোঃ কডার আত্মীয়দেরও অভিযোগ। এসব ঘটনায় আমির উদ্দিন তার ছেলে মামলার বাদী মোঃ সুজন মিয়া সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। পরবর্তীতে ২৭/১০/২০২৫ ইং তারিখে সুজন মিয়া বাদী হয়ে বিজ্ঞ সি আর আমলী আদালতে হাজী মোঃ কডা মিয়া সহ ৮ জনকে চিহ্নিত করে মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নং – ১৬১৭/২৫। বর্তমানে ওই মামলা সদর থানায় তদন্তাধীন রয়েছে বলে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ বাবুল হোসেন সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এবিষয়ে আসামী হাজী মোঃ কডা মিয়ার সাথে যোগাযোগ করতে তার বাড়িতে গেলে বাড়ির লোকজন জানান, তিনি পলাতক রয়েছে।

মুঠোফোনে হাজী মোাঃ কডা মিয়ার ছেলে জসিম মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, মারামারির সময় আমি ঢাকাতে ছিলাম, আমি এব্যাপারে জানি না। তার বাবার ফোন নাম্বার চাইলে তিনি বলেন, আমার বাবা মোবাইল ফোন ব্যাবহার করে না।

মুঠোফোনে হাজী মোঃ কডা মিয়ার ছেলে হবি মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন,আমরা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত না, আমার বাবা কডা মিয়া একজন হাজী।

আমরা হাজী পরিবারের মানুষ।এবং মুনির মাওলা ওরফে (বিল্লাল) এর সাথে মুঠোফোন তার নেতৃত্বে হাসপাতালে হামলার বিষয় টি জানতে চাইলে তিনি বিষয় টি অস্বীকার করেন।