
দেশে ব্যক্তিগত সিম ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণ আরও জোরদার করতে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। আগামী বছরের জানুয়ারি (২০২৬) থেকে কার্যকর হতে যাওয়া এই নিয়ম অনুযায়ী, একজন নাগরিক তার জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে সর্বোচ্চ ৫টি সিম নিবন্ধন করতে পারবেন।
এর আগে বিটিআরসি গত ৩০ জুলাই জানিয়েছিল, একজন নাগরিকের নামে ১০টির বেশি সিম রাখা যাবে না এবং অতিরিক্ত সিমগুলো নভেম্বর থেকে বন্ধ করা শুরু হবে। যদিও পূর্বে একজন নাগরিক ১৫টি সিম পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারতেন।
বিটিআরসির একজন কর্মকর্তা জানান, দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মোবাইল অপারেটরদের নতুন সিম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সীমা ৫টি রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যা অনুমোদনের পর ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) গত ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভা শেষে জানান, নির্বাচনের আগে ব্যক্তিগত সিম ব্যবহারের সংখ্যা কমিয়ে আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ১০টি সিম ব্যবহার করতে পারেন। নির্বাচনের আগে এটি কমিয়ে ৫ থেকে ৭টিতে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে সরকারের লক্ষ্য একজন নাগরিকের সিম সংখ্যা ২টির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. এমদাদ উল বারী বলেন, “৩১ অক্টোবরের পর একটি এনআইডির বিপরীতে ১০টির বেশি সিম রাখা যাবে না। ধাপে ধাপে সিমের সংখ্যা আরও কমানো হবে।”
বর্তমানে দেশে ১৯ কোটিরও বেশি সিম ব্যবহার হচ্ছে। একজন ব্যক্তি একাধিক সিম ব্যবহার করায় অনিবন্ধিত বা অন্যের নামে নেওয়া সিম থেকে ভুয়া তথ্য ও অপতথ্য ছড়ানোর ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রেও এসব সিম ব্যবহার করা হয়। নির্বাচনের আগে ভুয়া তথ্য ও অপতথ্য রোধে মোবাইল সিম ব্যবহারের ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর এই উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
মাসুদ রানা : 

























